দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিতে যা বললেন লিয়াকত

বিশেষ প্রতিবেদক ◑

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী। তিনি এ মামলার প্রধান আসামি।

রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

তিনি জানান, বেলা পৌনে ১২টায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। এরপর তার জবানবন্দি রেকর্ড শুরু হয়।

আদালতে জবানবন্দিতে লিয়াকত জানান, ডাকাত মনে করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের গাড়ি প্রতিরোধ করেন তিনি। এরপর ডাকাত সন্দেহে সিনহাকে গুলি ও সিফাতকে আটক করা হয়। তার গুলিতেই সিনহা নিহত হন বলেও জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দেন লিয়াকত।

এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত অনেক কিছু স্বীকার করেছেন।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, ২৮ আগস্ট তৃতীয় দফায় বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়।

এর আগে, গত ৬ আগস্ট প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ সাত পুলিশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরো সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল র‍্যাব। আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ওই চারদিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চারদিনের আবেদন করা হয়। এরপর তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।